করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ঢেউয়ের ফলে দুটি ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। দুই ম্যাচ পর আবারও মাঠে ফিরেছে রালফ রানকিংয়ের শিষ্যরা। তবে, নিউক্যাসলের মাঠে কোনোমতে হার এড়াতে হল হার।

নিউক্যাসলের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে এডিনসন কাভানি হলেন ম্যানইউর রক্ষাকর্তা। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন ম্যানইউর এই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। তার আগে নিজেদের মাঠে ম্যাচের ৭ম মিনিটেই ম্যানইউর জালে বল জড়িয়েছিল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ম্যাচ শেষ হলো ১-১ সমতায়।

পয়েন্ট টেবিলে নিউক্যাসলের অবস্থান ১৯তম স্থানে। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত এভাবে থাকলে নিশ্চিত রেলিগেটেড হতে হবে। কিন্তু তারাই কি না ম্যানইউর দুটি পয়েন্ট কেড়ে নিলো। বলতে গেলে তাদেরকে তো হারিয়েই দিচ্ছিল। ৭১ মিনিটে কাভানি গোলটি না করলে পূর্ণ ৩টি পয়েন্ট পেয়ে যেতো নিউক্যাসল।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ম্যাচের ৭ম মিনিটে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় গোল করেন নিউক্যাসলের অ্যালান সেইন্ট ম্যাক্সিমিন। ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বক্সে মধ্যে গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়াকেও পরাস্ত করেন তিনি।

ম্যানইউ কোচ রালফ রানকিং বলেন, ‘আমি এই পারফরম্যান্স মোটেও পছন্দ করছি না। কয়েকটি মুহূর্তছাড়া আজ আমরা মোটেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি।’

পুরো ম্যাচে অবশ্য ভালোই খেলেছিল ম্যানইউ। প্রথমার্ধের শেষাংশে তো বল প্রায় নিজেদের পায়েই রেখেছিল তারা। প্রথমার্ধে দলের খেলায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলে পরিবর্তন আনেন কোচ রানকিং। ফ্রেড এবং ম্যাসন গ্রিনউডকে পরিবর্তন করে তিনি মাঠে নামান জ্যাডন সানচো এবং কাভানিকে।

কিন্তু নিউক্যাসলের একের পর এক আক্রমণের মুখে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছিল ম্যানইউ। দারুণ চাপে থাকার পরও ৭১ মিনিটে দারুণ এক গোল বের করে নেন কাভানি। দিয়েগো ড্যালটের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শটে নিউক্যাসলের জালে বল জড়িয়ে দেন উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকার।