শিশু সন্তানের দুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে যশোরে আফজাল হোসেন (৩৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।
রবিবার (২৯ মে) রাত ৮টার দিকে শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেয়ার আধা ঘন্টা পর তার মৃত্যু হয়। নিহত আফজাল শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার কবিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোলায়মান হোসেনের ছেলে।
নিহতের পিতা সোলাইমান হোসেন জানান, শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে তার একটি চায়ের দোকান আছে। আফজাল তার দোকানে ছিল। রাত ৮টার দিকে তার ছয়দিনের শিশুপুত্রের জন্য দুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। চাতালের মোড়ের পুকুর পাড়ে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় দুটি বোমার শব্দ শোনা যায়। লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আফজাল দিনমজুর ছিল। পাশাপাশি তার চায়ের দোকানে বসে দোকানদারি করতো। ছয়দিন আগে তার একটি পুত্র সন্তান হয়। আরও দুটি ছেলে আছে আফজালের।
স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন আগে নাজির শংকরপুর কোল্ডস্টোরেজ মোড়ের সুজন ওরফে ট্যারা সুজনের সাথে আফজালের বিরোধ সৃষ্টি হয়। আফজালের হাতে মারপিটের শিকার হয় সুজন। সেই থেকে প্রতিশোধ নিতে সুজন তার গ্রুপের সদস্যরা আফজালকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সুজনের নামেও একাধিক মামলা আছে থানায়। রোজার মাসের কয়েকদিন আগে সে জেল থেকে মুক্তি পায়। এরপর ট্যারা সুজনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।রমজান নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি নাজির শংকরপুর জিরোপয়েন্টে ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনটি ইজিবাইকে করে ১৪-১৫ জন জিরোপায়েন্ট থেকে দক্ষিণদিকে চাতালের মোড়ের পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়েছিল। আফজাল পৌঁছানো মাত্রই তাকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। এ সময় চিৎকার শুনে তিনিসহ অন্যান্যরা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পরপর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা চলে গেলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে একটি রিকশায় করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। আধাঘন্টা পর আফজালের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় ট্যারা সুজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখেছে এলাকার লোকজন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহান জানিয়েছেন, রোগীর মাথা ও ঘাড়ের পেছনে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে সন্ত্রাসীদের আক্রমণে আফজাল নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।