চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার ভাটিয়ারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিনের (৩৫) গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে চলছে শোকের মাতম।

নিহত আলাউদ্দিন জেলার চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের বড় মুন্সি বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে। তাজ উদ্দিন তাহিম নামে তার ৬ বছরের এক ছেলে রয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন শনিবার (৪ জুন) সকালে ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি চাটখিল থেকে কর্মস্থল চট্রগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যান আলাউদ্দিন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

নিহত আলাউদ্দিনের বড় ভাই জহির উদ্দিন জানান, বাব- মা ও ছয় ভাই-চার বোনের সংসারে ভাইদের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন আলাউদ্দিন। প্রায় ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন তিনি।তার প্রথম কর্মস্থল ছিল ঢাকা,পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, কুমিল্লা এবং সবশেষ চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশন।

গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ছুটিতে বাড়িতে আসে আলাউদ্দিন। প্রায় সাত দিনের ছুটি শেষে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে গিয়ে চট্টগ্রামের কুমিরা স্টেশনে যোগদান করেন তিনি। রাতে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার ভাটিয়ারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে স্টেশনের অপর সদস্যদের সাথে ঘটনাস্থলে কর্মরত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরো জানান, আলাউদ্দিনের লাশ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তারা আগ্রাবাদ কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করলে তাদের সকল প্রক্রিয়া শেষ করার পর লাশ বাড়িতে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়। বর্তমানে আলাউদ্দিনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে।

এদিকে আলাউদ্দিনকে হারিয়ে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে পাথর হয়ে গেছেন বাবা আব্দুর রশিদ, মা মমতাজ বেগম ও স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে গ্রামের পরিবেশ।