লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ১শত ২১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪ টি এবং মোট মাধ্যমিকের চারটিতে নেই প্রধান শিক্ষক। এতে করে ব্যহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরিন শিক্ষা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের তথ্যমতে, চব্বিশটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। অন্যদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর বলছে, শূন্য থাকা চার মাধ্যমিকের প্রধান শিক্ষক পদ পূরণ না হলেও ৩টির পদ পূরণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া পূর্বক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদ খালি থাকা ৪ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হায়দারগন্ঞ্জ রোকেয়া হাসমতের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে মামলা চলমান থাকায় সেটি নিয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রধান শিক্ষক শূন্য হওয়ায় বেখেয়ালি ভাবে চলছে প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। এতে করে ক্ষুব্দ অভিভাবক মহল। উপজেলার সিকদারকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া রেদোয়ান আহমেদ (ছদ্মনাম) এর অভিভাবক রোকেয়া খানম( ছদ্মনাম) বলেন, “হেড মাষ্টার না থাকায় শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস নেয় না, করোনায় আমার ছেলের পড়ায় এমনিতেই অনেক ঘাটতি হয়েছে। তার উপর স্যাররা এখন ঠিকমতো ক্লাস নেয় না”।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অন্যদিকে খালি থাকা চার মাধ্যমিকের একটি জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য বলেন, “সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় রিয়াজ সাহেব (প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক) অন্য একটি বিদ্যালয়ে চলে গেছেন,পরে শূন্য পদ পূরণে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আমরা কথা বলেছি”।

আবার বিগত ২০১৭ সাল থেকে চব্বিশটি প্রাথমিকে ক্রমান্বয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য হওয়া শুরু হলেও পদ পূরণে গত ৫ বছরে আশানুরূপ কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান বলেন, সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। অতিশীঘ্রই এসব শূন্য পদ পূরণ হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, “নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া চলমান, যোকোনো সিদ্ধান্ত অধিদপ্তর গ্রহন করবে, এতে আমাদের কোনো এক্তিয়ার নেই”।