ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদ ‘খ’ ইউনিটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ৯৬.২৫ নম্বর পেয়ে ইউনিটে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন শিক্ষার্থী সাবরিন আক্তার কেয়া তিনি মাদারীপুরের কৃতিত্ব সন্তান।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। গত ৪ জুন এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯.৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।

সাবরিন আক্তার কেয়া মাদারীপুর সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পরিবার সূত্রে জানা যায়,সাবরিন আক্তার কেয়া তাঁর জন্মস্থান মাদারীপুর সদরের হরিকুমার এলাকায়। মাদারীপুর সরকারি ডনোভান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে ২০১৯ সালে এসএসসি পাস করেন।

পরে মাদারীপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন। সেখানে ২০২১সালে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।

তিনি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরসহ মোট ৯৬ দশমিক ২৫ পেয়ে তৃতীয় হয়েছন।

সাবরিন আক্তার কেয়া বলেন,আমার এই সাফল্যর জন্য প্রথমেই আমি আমার মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাই।এই সাফল্যর পেছনে যাদের সবচেয়ে বড় অবদান তারা হলেন আমার বাবা মা।এবং শিক্ষক ও সহপাঠীরা। শিক্ষকদের উৎসাহিত এবং অনুপ্রেরণার আজ আমি এখানে আসতে পেরেছি।সেই সঙ্গে আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। ’

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি পরীক্ষা ভালোই দিয়েছিলাম। ভালো ফলাফল এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়েই সুযোগ পেয়েছি। এটি আল্লাহর ইচ্ছা আর বাবা-মায়ের দোয়া ছাড়া কিছুই নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো এটা আমার স্বপ্ন ছিল।’তবে এমন সাফল্যের নেপথ্যে পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসই বেশি কাজ করেছে বলে মনে করেন কেয়া।

তিনি বলেন, ‘পরিশ্রম না করে শুধু মেধা থাকলেই সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করার পর থেকে আমার বাবা-মা আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। শুধু চান্স পেলেই হবে না, আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো অবস্থান তৈরির জন্য উৎসাহ জুগিয়েছেন তারা। আমার বিশ্বাস ছিল অমি চান্স পাবই। আজ সে স্বপ্নই পূরণ হতে চলেছে।’

দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন, সাবরিন আক্তার কেয়ার একার সাফল্য না এই সাফল্য আমাদের সকলের, কলেজের এবং সকল শিক্ষার্থীদের।

আমাদের মাদারীপুরবাসীর মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামান মিয়া বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে আমাদের মাদারীপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী কেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছে। সব সময় আমি তার সফলতা কামনা করি। ’

উল্লেখ্য, ঢাবির কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটে আবেদন করেছিলেন ৫৮ হাজার ৫৭৩ জন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৫৬ হাজার ৯৭২ জন প্রার্থী।এই ইউনিটে মোট আসন ১ হাজার ৭৮৮টি।