মাদারীপুরের কালকিনিতে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে কথাকাটি বিষয় জানাজানি হওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে প্রবাসির স্ত্রী আছমা বেগম(২৪) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় এলাকাবাসী দেবর প্রেমিক নাজমুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে

সোমবার দুপুরে উপজেলার গোপালপুর এলাকার ভাড়া বাসায় ঘটনা ঘটে। নিহত আছমা বেগম(২৪) কালকিনি উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডের গোপালপুর এলাকার হালিম সরদারের মেয়ে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন , কয়েক বছর আগে বরিশালের খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের হালিম সরদারের সাথে ইসলামি শরিয়ত মাফিক বিয়ে হয় আছমার।তখন আসমার স্বামী ডেকরাটের ব্যবসা করত। এ ব্যবসা থেকে যা উপার্যন হতো তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই হালিম সরদার উন্নত জীবনের আসায় সৌদি আরবে পাড়ি জমান।সেখানে জীবন ভালোই কাটতে ছিলো।স্বামী সংসারের চিন্তায় বিদেশি থাকায় এই সুযোগে স্ত্রী আসমা খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের একই বাড়ির চাচাতো দেবর নাজমুলের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জরিয়ে পড়েন। এর মধ্যে গৃহবধু আছমা আক্তারের সৌদি প্রবাসি স্বামী কয়েক দিন আগে ছুটিতে দেশে এসে মাস কয়েক বাড়িতে থেকে ১২দিন আগে আবার সৌদি চলে যান। স্বামী চলে যাওয়ার পর থেকে নাজমুল সরদারের সাথে পুনরায় প্রেম চালু হয়।

কথিত প্রেমিক নাজমুল সাথে আজ দুপুরে ভিডিও কলে কিছু কথা নিয়ে কাটাকাটি হয়।এরপরে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন থেকে চলে আসেন আছমা বেগম গোপালপুরে তার ভাড়া বাড়িতে।পরে ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে পেচিয়ে গৃহবধু আছমা আক্তার আত্মহত্যা করেন। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে গৃহবধূক আছমাকে উদ্ধার করে কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে কর্তবর্রত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। গৃহবধূর আত্মা হত্যার করার ঘটনা খবর পেয়ে স্হানীয়রা তার প্রেমিক চাচাতো দেবর নাজমুলকে আটকে রেখে পুলিশকে দেন।

কালকিনি স্বাস্থ্য কমপেলেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখর কুমার দেবনাথ বলেন,আমাদের কাছে নিয়ে আসলে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পাই এবং লাশের গলায় দাগের আলামত আছে।

নিহতর বাবা নাছিম সরদার বলেন, আমার মেয়েকে নাজমুল হত্যা করা হয়েছে। আমি থানায় মামলা করবো।আমি নাজমুলের ফাসি চাই।

কালকিনি থানা অফিসার ইচার্জ(ওসি) শামীম হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নিহতের ঘাড়ে দাগ চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।