চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনুস স্মরণী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে আবারও ক্লাশ বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিষ্ঠানটির মাঠে ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ সভা করে শিক্ষার্থীরা।

এসময় দীর্ঘদিন থেকে স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসন, অধ্যক্ষ ও সভাপতির পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে ক্লাশ বর্জন করে বিভিন্ন স্লোগানে শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠে অবস্থান নেয়। দুপুর ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশে পাঠান। এর কিছুক্ষণ পর গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করার পরেও মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন ভূমিকা নেয়া হয়নি। এমনকি প্রতিষ্ঠানের টয়লেটে নেই পানির ব্যবস্থা এবং অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তা ব্যবহার করতে হয়। শিক্ষার্থীরা বারবার বলেও তা আমলে নেননি অধ্যক্ষ। উল্টো এনিয়ে কোন আন্দোলন করলে নানাীরকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন তিনি। এছাড়াও যেই শিক্ষক আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছেন, তাকেও শোকজ করা হয়।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ইউনুস স্মরণী স্কুল ও কলেজের সিনিয়র প্রভাষক রফিকুল ইসলাম জানান, ছাত্ররা আবারও আন্দোলনে নেমেছিল আজকে (মঙ্গলবার)। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ছাত্রদেরকে আগামীকাল থেকে পূর্বের ন্যায় ক্লাস করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল জানান, শিক্ষার্থীদের যেসকল দাবি আছে তাঁর বেশীরভাগই যৌক্তিক। তবে তা বাস্তবায়ন করার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। অধ্যক্ষ, ল্যাব সহকারী, অফিস সহকারী ও‌ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রদেরকে একটি মহল উস্কানি দিচ্ছে। সেই জন্য তারা এই আন্দোলন করছে। আমাদের পদত্যাগের প্রয়োজন হলে আমরা নিজেরাই পদত্যাগ করবো।

কলেজ শাখার সিনিয়র প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলামকে শোকজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ছাত্রদের উস্কানিমূলক কথা বলে বারবার আন্দোলনে নামাচ্ছে ও‌ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি খুন্ন করছে। তাই ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তাকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি তাঁর থেকে সন্তুোষজনক উত্তর পায়। তাহলে আমরা পরবর্তীতে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করছিল। পরে সেখানে গিয়ে আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। পরে অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বললে তারা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।