সর্বশেষ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |
নিজে নিজে অপহরণের নাটক সাজিয়ে নিখোঁজ হয় তাফহীমুল আলম নিশান নামের এক কলেজ ছাত্র। এরপর নিশান তার বাবা কাছে একের পর এক মেসেজের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নগদ এজেন্টের দোকানে মুক্তিপণের টাকা তুলতে গিয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন নিশান।
নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই ফেঁসে গেছেন। সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। অনলাইন জুয়ায় লগ্নি করার উদ্দেশ্যে এমন নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন নিশান।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় একটি নগদ এজেন্টের দোকান থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
তাফহীমুল আলম নিশান (২২) মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। সে মাগুরার একটি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। তার বাবা যশোরে একটি চাকরি করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিশান যশোর শহরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করে।
জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর রাতে যশোর সদর উপজেলার পালবাড়ি এলাকা হতে নিশান নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে রাত ১২টার দিকে নিশানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে তার পিতাকে মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হয় যে, তার ছেলে নিশানকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ছেলেকে জীবিত ফিরে পেতে চাইলে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য ভিকটিমের পিতাকে একটি নগদ একাউন্ট নাম্বার দেওয়া হয় । টাকা দিতে ব্যর্থ হলে অপহৃতকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তার বাবার মজমপুর এলাকার একটি নগদ এজেন্টের দোকান মুক্তিপণের টাকা পাঠান৷ সেই টাকা উত্তোলনের সময় নিশানকে আটক করে র্যাব।
এ ঘটনার ২৪ অক্টোবর নিশানের বাবা যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। নিখোঁজ যুবক তাফহীমুল আলম নিশানকে উদ্ধারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে এবং আটক করে।
আরও জানা গেছে, নিখোজ হওয়ার আগেরদিন সে তার পিতার নিকট হতে অনলাইন জুয়ায় লগ্নি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা বলে ৫০ হাজাত টাকা নেয়। কিন্তু সেই টাকা সে হারিয়ে ফেলে। এরপর সে তার বাবার ভয়ে হারানো টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য নিজেই অপহৃত হওয়ার পরিকল্পনা করে এবং যশোর হতে কুষ্টিয়া শহরে এসে একটি আবাসিক হোটেলে উঠে।
কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, নিশান অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। সে দীর্ঘদিন যাবত অনলাইন জুয়া খেলে আসছে। অনলাইন জুয়ায় লগ্নি করার উদ্দেশ্যে এমন নাটক সাজিয়েছিল সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এসব স্বীকার করেছে। তাকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
