কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্বীকৃতি থেকে বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধারা তালিকাভুক্ত হওয়ার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বুধবার বেলা ১১ টায় দৌলতপুর উপজেলা চত্বরে বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার মতিউল আলম বাচ্চু বলেন, মিলিশিয়া ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দিয়ে আতাউল গনি ওসমানী সাক্ষরিত সনদ পেলেও পরবর্তীতে কোন স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সনদ প্রদানের যাচাই-বাছাই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আরেক জ্যেষ্ঠ নাগরিক ওমর আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আমরা যায়। ভারতের শিকারপুরের রিসিপশন ক্যাম্পে নিবন্ধন হয়, পরে জমসেদপুর ক্যাম্পে পাঠানো হয়। তিন মাসের বেশি সময় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করি, যৌক্তিক দাবি থাকলেও আমাদের স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।

বৃহৎ আয়তনের দৌলতপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় অন্তত ৪শ’ মানুষ স্বীকৃতির আশায় আছেন জানিয়ে রেজাউল হক নামে আরেক সংগঠক বলেন, যুদ্ধে অংশ নিয়েও আমরা স্বীকৃতির দাবিতে দ্বারেদ্বারে ঘুরছি।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শাজাহান আলী। বলা হয়, আমরা ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্য ভারতের শিকারপুর রিসিপশন ক্যাম্পে ভর্তি হই। এরপর জমশেদপুর ইয়ুথ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি।

এরপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দেশের অভ্যান্তরে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। স্বাধীনতা লাভের পর তারা নিজ নিজ কমান্ডারের নিকট নিজেদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেন। এবং আতাউল গণি ওসমানির স্বাক্ষরিত সনদ গ্রহণ করেন।

লিখিত ওই বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, পরবর্তীতে তারা মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসাবে কাজ করেন। ২০১৪ সালে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করলে ২০১৭ সালে প্রহসনের যাচাই বাছাইয়ে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের কোন অবদান নেই বলে উল্লেখ করা হয়। যা আমাদের মত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অপমানজনক। সংবাদ সম্মেলনে এ সকল বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধাগণ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

আয়োজনে অংশ নেন উপজেলাটির অন্তত দেড়শো জ্যেষ্ঠ নাগরিক।