সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পে সবজি চাষে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে অনেক নারী ও পুরুষের। সরকারি প্রকল্পের আওতায় বিষমুক্ত এ সবজি চাষে অনেকের বেকারত্বও দূর হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সহস্রাধিক সবজি বাগান করা হয়েছে।

এ সবজির চাষের বাগান করা হয়েছে, সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাই গ্রামে বসত বাড়ির আঙ্গিনায় ও পতিত জমিতে ৫৪টি প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন সবজির বাগান স্থাপন করা হয়েছে।

এ সবজি চাষের বাগান স্বামীর পাশাপাশি শখের বসে স্ত্রী-সন্তানেরা দেখাশোনা করছে। এসব বাগানে বিভিন্ন ফল ও মসলা জাতীয় সবজি রয়েছে। সবজির মধ্যে রয়েছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমোটো, পেঁপে, লালশাক, পুইশাক, বেগুন, পালংশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ ইত্যাদি। প্রায় ২০ প্রকারের সবজি চাষ করছে এসব উদ্যোগী বেকার নারী পুরুষ।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় হাট বাজারে এসব সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছে তারা। কামারখন্দ উপজেলার ফুলজোর নদীর তীরে মুগবেলাই গ্রামে উদ্যোগী বেকার নারী পুরুষ ৫৪টি পরিবার বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি বাগান গড়ে তুলেছে।

এসব বাগান সবজি চাষিরা বলেন, ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষের পাশাপাশি সবজি চাষের প্রতি আগ্রহ কম নয়। অর্থ ও পরামর্শ না পাওয়ায় এ লাভজনক সবজি চাষ থেকে বঞ্চিত ছিল তারা। বর্তমান সরকারের কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতায় বসত বাড়ির আঙ্গিনায় ও পতিত জমিতে এ সবজি চাষ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কৃষিবিদরা বলেছেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না।

এ নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন স্থানে এ লাভজনক চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক ও বেকার নারী পুরুষ।