৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ান। বিধ্বস্ত তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে গেছে এবং এসব ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অন্তত ৭৭ জন মানুষ।

বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটের দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা) কিছু আগে তাইওয়ানের কাছে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

জাপানের আবহাওয়া দপ্তর আরও জানায়, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। এ সময় সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।

সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে ভূমিকম্পের সময় রাজধানীর তাইপের ভবনগুলো কাঁপতে দেখা গেছে। ঝাঁকুনিতে আসবাবপত্র ছিটকে পড়তে দেখা যায়।

স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাইওয়ানজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে পড়েছে ভূমিকম্পে। এই ১০০ ভবনের অর্ধেকই হুয়ালিয়েন শহরের। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেছেন, ‘গত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

তাইপেইতে ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে আফটারশক অনুভূত হতে থাকে।

এর আগে, ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তাতে ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়।

সূত্র: আল জাজিরা ও দ্য জাপান টাইমস, বিবিসি।

বিএইচ