মাস্টারকার্ড পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস (এমপিজিএস)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এখন থেকে গ্রাহকরা মাস্টারকার্ডের সাহয্যে অত্যন্ত সহজ, নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ উপায়ে অনলাইনে পণ্য ও সেবা কেনাকাটায় বিল পরিশোধ এবং কার্ড থেকে মোবাইল ওয়ালেটে অর্থ স্থানান্তর করার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) মাস্টারকার্ডের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান দু’টির এই পার্টনারশিপের ফলে এমপিজিএস কার্ড হোল্ডাররা একদিকে যেমন ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনায়াসে পণ্য-সেবার বিল পরিশোধ করতে পারবেন, তেমনি সেবাদাতা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও পার্টনাররাও আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা থেকে উপকৃত হবেন। কারণ এতে দ্রুত সঠিক উপায়ে যেকোনো গ্রাহকের প্রতারণা চিহ্নিত করা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এই সমাধানটি চালু হওয়ার ফলে মাস্টারকার্ড পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস (এমপিজিএস) ব্যবহার করে সিটি ব্যাংক তাদের নিজস্ব গ্রাহকদের অনলাইনে পণ্য ও সেবা কেনার বিল পরিশোধের দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গ্রাহকদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিঘ্ন লেনদেন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা মাস্টারকার্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে এই সেবা নিয়ে এসেছি। আমাদের বিশ্বাস, নতুন এই সেবার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। বিভিন্ন ধরনের মূল্য সংযোজিত সেবাও তারা পাবেন। সেবাটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহক-উভয়পক্ষই খুব সহজে, স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে অনলাইনে লেনদেন করতে পারবেন।’
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘পার্টনারশিপের মাধ্যমে মাস্টারকার্ড পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস (এমপিজিএস) ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য অনলাইনে পণ্য ও সেবা কেনাকাটার অধিকতর সুযোগ তৈরি করে দেওয়াই মাস্টারকার্ডের লক্ষ্য। যাতে গ্রাহকদের অনলাইনে কেনাকাটা বা লেনেদেনের অভিজ্ঞতা দারুণ হয়। চমৎকার এই পার্টনারশিপের ফলে দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন উৎস থেকে পাঠানো অর্থ গ্রহণের পাশাপাশি নিজেদের ব্যবসাকেও নতুন নতুন বাজারে বিস্তার করতে পারবেন।’
জানানো হয়, পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিসের (এমপিজিএস) প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস থাকবে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী মার্চেন্টরা তুলনামূলক বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। এসব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে-টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন, সহজ পেমেন্ট, টোকেনাইজেশন এবং একই মার্চেন্টের সঙ্গে একাধিকবার লেনদেনের ক্ষেত্রে বার বার কার্ডের তথ্য না দেওয়ার ঝামেলা এড়ানো ইত্যাদি। এছাড়া ড্যাশবোর্ড, ভার্চুয়াল টার্মিনাল, অনলাইন রিপোর্টিং সুবিধা সম্পন্ন মার্চেন্ট ম্যানেজমেন্ট পোর্টালও থাকছে।