ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, কোটা বাতিলের দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর উঠে উল্লাস করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি সাঁজোয়া যান সরিয়ে নেয়। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণের পরেও পুলিশ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
মহিদ উদ্দিন বলেন, কোটা নিয়ে আদালতের নির্দেশনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অবকাশ ছিল না। তাই তাদের রাস্তায় না নামতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা নেমে পড়লেন। তার পরও পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, আশা করি আজকেই এটা (আন্দোলন) শেষ হবে। পুলিশ চায় না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু হোক। তাদেরও বোঝা উচিত। তাদেরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
বিকেল ৫টার দিকে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তারা শাহবাগে অবস্থান নেন। পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেখানে অংশ নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। প্রথমে পুলিশ তাদের বাধা দেয়, পরে সরে যায়। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বর্তমানে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।
এএন