মাদারীপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জিহাদ হাওলাদার (২৩), তার দুই ভাই ও তার চাচাকে গত ২৪ জুলাই বিকেলে তার বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন জিহাদসহ তার পরিবারের বাকি সদস্যদের মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। শুক্রবার তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় আসেন বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুবৃর্ত্তদের ৮ জনকে আসামী করে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, এখন আসামি পক্ষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে ও তার পরিবারকে বারবার হুমকি দিচ্ছে।

ভুক্তভোগী জানান, ২৪ জুলাই বিকাল ৪ টার দিকে মাদারীপুর সদরের ভদ্রখোলা গ্রামের হাওলাদার বংশের (নয়াবাড়ি) দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ের জামাতা শহিদুল হাওলাদার (৩০) জিহাদের চাচা আতিয়ার হাওলাদারকে উস্কানিমূলক ও অপমানজনক কথা বলে। এ ঘটনার কারণ জানতে চাওয়ায় শহিদুল ও তার শ্যালক সিফাত হাওলাদার (১৮) জিহাদের দাদি ও আম্মা কিরন বেগমকে (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারধর করেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

খবর পেয়ে জিহাদ ও তার চাচা আতিয়ার হাওলাদার ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই চুন্নু সিং দেশীয় অস্ত্র ও তার দলবল নিয়ে তাদের বাসায় ঢোকে। এরপর তাকে এবং তার ছোট ভাই রিফাত হাওলাদার (১৮), বড় ভাই রিয়াদ হাওলাদার (২৪) ও চাচা আতিয়ার হাওলাদারকে দেশীয় অস্ত্র রামদা ও মাছ স্বীকার করা কোচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়াও, তার চাচা আতিয়ার হাওলাদারের নতুন ঘর ভাংচুর করে এবং লুটপাট করে ওই দুর্বৃত্ততরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘চুন্নু সিং ও তার দলবলের আক্রমণের কারনে আমরা তিন ভাই ও আমার চাচা এবং আমার আম্মা মারাত্মক ভাবে জখম হই। এছাড়া আমার মাথায় রামদার কোপ লাগায় ৮ টা সেলাই দেয়া লাগে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমারা থানায় মামলা করলে চুন্নু সিং আমাদেরকে এখন নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ঘটনার দিন চুন্নু সিং, তার দুই ছেলে মাছুম সিং (২৪) ও অপু সিং (১৮) এবং চুন্নু সিং এর ভাইয়েরা ও ভাইয়ের ছেলেরাও সাথে ছিল।’

এ ব্যাপারে মামলার আসামী চুন্নু সিং এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মামলা করেছে। মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়ার মত যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ভুক্তভোগীদের থানায় আসতে হবে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়া তো আমরা কিছু করতে পারবো না। থানায় এসে তারা সাধারণ ডায়েরি করলে আমি তদন্তকারী অফিসারের সাথে কথা বলে দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’