Top

ফ্যাশন ডিজাইনারদের প্রশিক্ষণে জোর দিচ্ছে বিজিএমইএ

০৮ এপ্রিল, ২০২৩ ৯:১৮ অপরাহ্ণ
ফ্যাশন ডিজাইনারদের প্রশিক্ষণে জোর দিচ্ছে বিজিএমইএ
নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের রপ্তানিখাতের সিংহভাগ আয় তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। ইদানীংকালে পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি কমলে রপ্তানি আয়েও ভাটা পড়ে। তবে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আসে ছোট গার্মেন্টস থেকে। এবার ফ্যাশন ডিজাইনারদের পোশাক তৈরির ক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বাংলাদেশি ফ্যাশন ডিজাইনাররা যাতে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ফ্যাশনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন, তার জন্য জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় রিসোর্স সরবরাহ করে তাদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে বিজিএমইএ।

সম্প্রতি ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তব্যকালে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশি ফ্যাশন ডিজাইনার ও পোশাক কর্মীদের হাই-অ্যান্ড পোশাক তৈরিতে প্রশিক্ষণের জন্য প্রস্তাবিত মডিউলের বৈধতা (ভ্যালিডেশন) শীর্ষক ওই কর্মশালার আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল।

এ দিন কর্মশালায় বিজিএমইএ সভাপতি জানান, মসলিন, জামদানি, খাদি প্রভৃতির মতো বাংলাদেশে উৎপাদিত ফেব্রিক্স ও ম্যাটারিয়াল ব্যবহার করে উচ্চমানের ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি ও বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।

আমরা যদি আমাদের তরুণ এবং প্রতিভাবান ফ্যাশন ডিজাইনারদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি, তাহলে তারা উচ্চমূল্যের পোশাকের নকশা (ডিজাইন) তৈরি এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ফ্যাশনের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হবেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের সংস্কৃতি ও ফ্যাশনকে তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করবে। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আমাদের পণ্য রফতানি করতে সাহায্য করবে।

‘এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড কমপিটিটিভনেস ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের (ইআইএফ টায়ার-২) অংশ হিসেবে ওই কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুসরাত জাবীন বানু, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এসডিজি’র চেয়ারম্যান ওয়াসিম জাকারিয়া, ডিজাইনার ও নেভাল এর প্রতিষ্ঠাতা আনাদিল জনসন এবং বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল- বাংলাদেশে উৎপাদিত ফেব্রিক্স ও ম্যাটারিয়াল ব্যবহার করে উচ্চমানের ফ্যাশনেবল পোশাকের নকশা তৈরি/ডিজাইনিংয়ে দেশীয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও কর্মীদের প্রশিক্ষিত করার জন্য যে মডিউলের প্রস্তাবনা করা হয়েছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা। এই মডিউলের ওপর ভিত্তি করে সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (সিআইইওএসএইচ) এর অধীনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিপি/আজাদ

শেয়ার