দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ এখন মাছে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, উদ্বৃত্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর বাসস।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) প্রতি বছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব-২০২১ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বুধবার (১০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব-২০২১ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার নেতৃত্বাধীন সরকার শুরু থেকেই কৃষিখাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। কৃষিখাতে ভর্তুকি এবং কৃষি ঋণের পরিমাণ অনেক গুণ বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে তৃতীয় ধান উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। কেবল ধান নয়, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত।’

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ এখন মাছে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, উদ্বৃত্তও বটে। এ অর্জন জাতির জন্য গৌরবের। ২০২০ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য মতে মিঠাপানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৩য় এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১ম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবহমান গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং এর সুফল যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পর্যটনশিল্প বর্তমান বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নসহ দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পর্যটনের গুরুত্ব অনেক।’ তাই এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন,‘বর্তমান করোনা মহামারির মধ্যেও রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা করি, পদক্ষেপ বাংলাদেশ ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব’র মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, পর্যটনশিল্প ও ইলিশের গুরুত্ব ব্যাপক প্রচার করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি অবদান রাখবে।’