জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতার যে ৫০ বছর এখন উদযাপন করছি, সেই স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে ঢাকা কলেজ সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে ‘বর্ণালি সময় ’ অবদান রাখবে। ঢাকা কলেজ কতৃপক্ষ পত্রিকাটি প্রকাশে সহযোগিতা করে যাবে। ঢাকা কলেজের বিভিন্ন অবদান ও অবস্থানের বিষয়গুলো এই পত্রিকার মাধ্যমে উঠে আসবে বলে মন্তব্য করেন কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা কলেজের শহীদ আ ন ম খুররম অডিটোরিয়ামে মাসিক ফিচার পত্রিকা ‘বর্ণালি সময়ের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রথম সংখ্যায় মাসিক বর্ণালি সময় এর গুণগত মান দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি ঢাকা কলেজের মুখপাত্র হতে পারে। আমি নিজেও বহুদিন ধরে এ ধরনের প্রকাশনার প্রয়োজনবোধ করছিলাম। শিক্ষকদেরও এমন একটি প্রকাশনার কথা বলেছিলাম। এমন প্রকাশনার ফলে ঢাকা কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা লেখনিতে ভূমিকা পালন করবে। সবাইকে সাংবাদিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সবাইকে লিখতে হবে, সুন্দর লিখনি রেখে যেতে হবে। শব্দের ইতিহাস থেকে যেন সবাই জানতে পারে। গত বেশ কিছুদিন ধরে আবদুর রহিম এমন একটি প্রকাশনার কথা বলে আসছে। আজকে হাতে পাওয়ার পর সত্যই অনেক ভালো লাগছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ এ টি এম মঈনুল হোসেন। তিনি বলেন, আধুনিক জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ হলো মিডিয়া। আর মিডিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন অংশ হলো পত্রিকা। ব্রিটিশ ভারতীয় আমল থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে থেকে এই অঞ্চলে পত্রিকার যাত্রা হয়। এরই ধাকাবাহিকতার বর্ণালি সময় ঢাকা কলেজকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল করিম বলেন, সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এখানে কাজ করতে গেলে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আবার ভালো কাজের মাধ্যমে অনেক সময় অনেককিছু তুলে আনতে পারেন। এসময় তিনি পত্রিকাটির উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

ঢাকা কলেজ রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পত্রিকা সমাজের দর্পন। বর্ণালি সময় অত্যন্ত সুন্দর নাম। একটি অঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে। ঢাকা কলেজের সুন্দর বিষয়গুলো গুলো প্রকাশ করে বর্ণালি সময় এগিয়ে থাকুক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বর্ণালি সময়ের সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, পত্রিকা কেবল সংবাদের কথা বলে না। এটা মুক্তিযুদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির কথা বলে। দেশের গণমাধ্যমের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে স্থানীয় পত্রিকার ভূমিকা গুরুতবপূর্ণ।

বর্ণালি সময়ের নির্বাহী সম্পাদক আবদুর রহিম বলেন, ক্যাম্পাসে ভর্তি হওয়ার পর থেকে এমন একটি প্রকাশনার স্বপ্ন দেখে আসছি। শিক্ষা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আজ সেটি আলোর মুখ দেখতে পেয়েছি এজন্য প্রকৃতির সত্তার শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমি আশা নয় দৃঢ়বিশ্বাস করছি মাস শেষে পুরো কলজেকে যখন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এক মলাটে দেখতে পাবে সবারই ভালো লাগবে। আমরা যে স্বপ্নযাত্রা শুরু করেছি এটি সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হোক এমন প্রত্যাশা থাকবে।