ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রাকার জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আইনজীবীরা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নুসরাত শাহরিন রাকাকে জামিন দিতে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ৭ নভেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা পৃথক দুই মামলায় নুসরাত শাহরিন রাকা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের করা মামলার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ আদালত এ আদেশ দেন। তবে মাদক মামলায় কোনো আদেশ দেননি।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে রাকাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। পরে র্যাব সদস্যরা জানায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র্যাব জানায়, বিদেশে অবস্থানকারী একটি চক্র দেশে থাকা ‘এজেন্টদের যোগসাজশে’ ভার্চুয়ালি ‘রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার’ চালাচ্ছে, এমন বিষয় র্যাবের গোয়েন্দা নজরে আসার পর তাদের ধরতে সক্রিয় হয় তারা। ভাইকে সাহায্য করতে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাকা।

এরপরই রাকার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করে র্যাব।

গত ৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন এবং মাদক মামলায় দুদিনসহ রাকাকে মোট পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১২ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।