নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র রেজাউল কবীর চৌধুরীকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর আহত মেয়রকে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে নজিপুর পৌর ভবনে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতুর হামলায় মেয়র আহত হয়েছেন বলে মেয়রসহ কয়েকজন দাবি করেছেন। এ ঘটনায় পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিন্দা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পৌরসভায় কর্মরত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টায় পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী পৌর ভবনের নিচতলায় দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এসময় কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতু তাঁর কয়েকটি নথীতে স্বাক্ষর না করার জন্য মেয়রের কাছে কৈফিয়ত চান এবং তাৎক্ষনিক সেসব নথীতে স্বাক্ষর করতে বলেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এ সময় মেয়র রেজাউল কবীর চৌধুরী স্বাক্ষর করতে না চাইলে কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতু মেয়রকে উদ্দেশ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন এবং চর থাপ্পর, মারপিটসহ শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে পৌর সভার কর্মকতা-কর্মচারীরা মেয়রকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে নজিপুর পৌরসভার মেয়র রেজাউল কবীর চৌধুরী বলেন, পৌরসভার অনুমোদন ছাড়াই কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতু নিজে কিছু কাজ করেছে। সেই বিলে আমাকে স্বাক্ষর দিতে বলেন। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কাজের বিলে আমি স্বাক্ষর দিতে না চাইলে তিনি আমার উপর অতর্কিত হামলা করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন সরকার বলেন, পৌর মেয়রের সাথে কাউন্সিলরের ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। এ ব্যাপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম জানান, আমি বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে গিয়ে মেয়রের সাথে কথা বলেছি। মেয়রের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।