সর্বশেষ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |
২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |
গত বছর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার ১০-১৫ জন চাষি কেঁচো সংগ্রহ করে জৈব পদ্ধতিতে সার উৎপাদন শুরু করেন। তাঁদের বিনা মূল্যে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষকদের উৎপাদিত সেই সার জমিতে ব্যবহার করে আশানুরুপ ফলন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এতে আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়।
বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম, মাজেদুর রহমান, হামিদুর রহমান, রইস উদ্দীনসহ একাধিক কৃষক বলেন, সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো কম্পোট সার প্রয়োগে খরচ হয় মাত্র আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু রাসায়নিক সার ব্যবহারে সেই ফলন পেতে চাষিদের গুনতে হয় তিন থেকে চার গুন টাকা। অন্যদিকে এ সার তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।
ওই ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, মাঠপর্যায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তার মধ্য দিয়ে ১০টির বেশি কেঁচো সার উৎপানের প্রদর্শনী গড়ে উঠেছে এ এলাকায়। কৃষক-কৃষাণীরা উৎপাদিত কেঁচো সার নিজের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করে আয় করছে। অনেক বেকার যুবকও কেঁচো কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করে উপার্জনে নেমে পড়েছেন। এজন্য সহজ শর্তে ঋণ সহায়তার
দাবি তাদের।
বেগুনবাড়ি নতুনপাড়া এলাকার কৃষক মোমিনুল ইসলাম জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে ফলন বেড়েছে। তা ছাড়া নিজেই উৎপাদন করি বলে খরচও কমে গেছে। উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো ১০টাকা দরে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে আমার।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম এনএটিপি-২ এর আওতায় কৃষি বিভাগ কেঁচো সার উৎপাদনে কৃষকদের সহায়তা প্রয়োজনীয় সহায়তা করছেন। পরিবেশবান্ধব এই সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে কৃষক কম খরচে সার পাচ্ছেন।
আরও জানতে ক্লিক করুন
আমাদের সাথে ফেজবুকে যুক্ত হন
বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
