পর্যটকদের উপর হামলা করে মারধরের প্রভাব পড়েছে প্রকৃতিকন্যা খ্যাত সিলেটের জাফলংয়ে। শুক্র ও শনিবার আশঙ্কাজনক কম হারে পর্যটক সমাগম ঘটে সেখানে।

হামলার পর জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রবেশ ফি কমালেও জাফলংয়ে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিলো কম। শুক্রবার (৬মে) মাত্র হাজারখানেক পর্যটককে জাফলংয়ে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে।

জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে টিকিট (প্রবেশ ফি) কাটাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৫ মে) অতর্কিত হামলার শিকার হন ঢাকার কয়েকজন নারী-পুরুষ পর্যটক। ঘটনার পরপরই কঠোর পদক্ষেপ নেয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। হামলাকারী পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তারপরও এ ঘটনায় পর্যটক সমাগমের ক্ষেত্রে পড়েছে জাফলংয়ে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এদিকে, জাফলংয়ে না হলেও সিলেট জেলার অন্য সব পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য স্থানে পর্যটক সমাগম ছিলো বৃহস্পতিবারের তুলনায় বেশি। ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর আর বিছনাকান্দিতে পর্যটকদের ভিড় অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গোয়াইনঘাটের জাফলং থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সবুজ পাহাড় আর পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনা ধারা সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। এছাড়া বিছনাকান্দি, জৈন্তাপুরের সারি নদী, কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর, উৎমাছড়া এবং মিঠাপানির একমাত্র জলারবন রাতারগুলের সবুজের সমারোহে পর্যটকদের ভিড় থাকে সবসময়ই। এসব পর্যটন স্পট ছাড়াও মাধবকুন্ড, শাহজালাল (র) ও শাহপরাণ (র) মাজার এলাকায়ও পর্যটকদেও ভিড় লক্ষ করা গেছে।

ভৈরব থেকে সিলেটে ঘুরতে আসা ফারজানা আক্তার নামের একজন পর্যটক বলেন, ‘যতবার সিলেট ঘুরতে আসি ততবারই জাফলং ঘুরতে আসি। আজও এলাম। তবে শুনেছি বৃহস্পতিবার এখানে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে আজ আর সেই পরিবেশ নেই। ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি আছে। তারা পর্যটকদের আনন্দ-বিনোদনে সহায়ক ভূমিকা রাখছেন।’

স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, বৃহস্পতিবার পর্যটকদের ওপর হামলার পর শুক্রবার জাফলংয়ে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। বিগত তিনদিন জাফলংয়ে লোকে লোকারণ্য থাকলেও আজকের চিত্র একটু ভিন্ন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং জোনের ওসি রতন শেখ বলেন, ‘জাফলংয়ে পর্যটকদের সংখ্যা এ বছর বেড়েছে। আজ শুক্রবারও পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। তবে গতকালের (বৃহস্পতিবার) তোলনায় একটু কম। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’