অস্বাভাবিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ঋণপত্রের (এলসি) মার্জিন হার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানি ঋণপত্র সংক্রান্ত এ নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।

মঙ্গলবার (১০ মে) দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণের নির্দেশনা ছিল। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে আমদানির চাপ বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত আমদানি চাপ কমাতে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল জরুরি পণ্য ছাড়া বিলাসী পণ্য আমদানিতে নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম ২৫ শতাংশ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু তাতেও আমদানি চাপ কমাতে না পারায় নতুন নির্দেশনা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রেক্ষাপটে মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনার সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট আমদানি ব্যতীত অন্য সব পণ্য আমদানির বিপরীতে ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, মোটর কার (সেডান কার, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল ইত্যাদি), হোম অ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নির্দেশনা জারির পরিপ্রেক্ষিতে ১১ এপ্রিলের নির্দেশনা রহিত করা হয়েছে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।