স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যখন বাংলাদেশের কোন মুদ্রানীতি ছিলনা তখন আল্লাহ মালিক কাজেমী নতুন মুদ্রানীতি প্রণয়ন করেন। যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল রাখা, বিনিময় হার ঠিক রাখা এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্য রাখার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়। কোভিড-১৯ সংকটকালীন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় এম এ এম কাজেমী বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের কবিদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনর্বাসন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে তার ভূমিকা ছিল অবিস্মরনীয়।

রোববার (২৬ জুন) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট বিআইবিএম এ মুদ্রানীতির উপর প্রথম এম এ এম কাজেমী মেমোরিয়াল লেকচার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

কানাডা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, মুদ্রানীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ সমূহ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি উৎপাদন বৃদ্ধি হবে এমন খাতগুলোয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

তিনি আরো বলেন, ডেভেলপমেন্টাল সেন্ট্রাল ব্যাংকিং সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। অনেক উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পরিবর্তে উন্নয়ন অবকাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ডঃ মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির লক্ষ্যসমূহ অর্জনের মুদ্রানীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে যে কয়জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এম এ এম কাজেমী তাদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় যখন অর্থনীতির সাথে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সমন্বয় সাধন কঠিন হয়ে পড়ে তখন ভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। বিশেষ করে বৈদেশিক বিনিময় হার মানি মার্কেট পলিসি প্রণয়ন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন কাজেমী।

বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক আশরাফ আল মামুন বলেন, গতকালই মহোদয়ের অবদান কেন্দ্রীয় ব্যাংক কথাগুলো ব্যাংকিং খাতের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য আল্লাহ মালেক কাজেমী ১৯৪৯ সালে ৩১শে মে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার ছোটরা গ্রামে এক সংক্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে হাজার ১৮৭৩ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম সারির প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পদে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে অফিসার ক্লাস ওয়ান পদে যোগদান করেন। এম এ এম তাজিমি ২০২০ সালের ২৬ জুন শুক্রবার এভারকেয়ার হাসপাতাল মৃত্যুবরণ করেন।