পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে থাকছেন না মুহাম্মদ এ (রুমী) আলী। আজ তিনি কোম্পানিকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রুমী আলী বাণিজ্য প্রতিদিনকে বলেন, আমি বিগত তিন বছর ধরে ব্যাংকের পর্ষদে ছিলাম। আইন অনুযায়ী একজন পরিচালকের মেয়াদ থাকে তিন বছর। পর্ষদে থাকতে হলে আগ্রহ প্রকাশ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়। আমি আর ব্যাংকে থাকছিনা, সেই জন্য নির্বাচনে অংশ নেইনি।

এর আগে ব্যাংকের কর্মীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি। আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটির মালিকদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী পরিচালনা পর্ষদে থাকছেন না। তিন বছর আগে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ব্যাংকটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ব্যাংকটির মালিকানার বড় অংশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বিএনপি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

কর্মীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী বলেছেন, ‘আমাদের নতুন পরিচালনা পর্ষদ তিন বছর আগে নতুন উদ্যমে ব্যাংক পরিচালনা কার্যক্রম শুরু করেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদের পাশাপাশি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা দলও ঢেলে সাজানো হয়। বিগত তিন বছরের দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়া আমাদের জন্য সহজ ছিল না। তিন বছর আগে ব্যাংকের অবস্থান অনেক নড়বড়ে ছিল। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে ব্যাংকটির হারানো গৌরব ফিরে পেতে নিরলসভাবে কাজ করেছি।’

চিঠিতে মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, একটি ব্যাংকের উন্নয়নের মূলমন্ত্র হচ্ছে সুশাসন। আর সুশাসনের মূলনীতি হচ্ছে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতা। এটি প্রতিষ্ঠা করা না গেলে সুশাসন আসবে না। আমি ব্যক্তিগত কারণে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করার আবেদন করেছি। তাই আপনাদের ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে এটাই আমার শেষ বোর্ড মিটিং এবং এজিএম।’