দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রভিন্সের স্ট্রেকস্প্রিট শহরের উজালা এলাকায় আবদুর রহিম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে সেই দেশী একদল ডাকাত। এসময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালানো হয়। ছুঁটিতে আসার পর মাত্র দুই মাস আগে আফ্রিকায় ফিরে গিয়েছিলেন তিনি।

শনিবার দিবাগত রাতে রহিমের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ হামলা ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুর রহিম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মধ্য কালিকাপুর গ্রামের সেকান্দার মুন্সি বাড়ির আলী আহম্মদের ছেলে। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে রহিম সবার ছোট ছিলেন।

রোববার সকালে নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, জীবিকার সন্ধানে গত ১০বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান আবদুর রহিম। আফ্রিকার উজালা এলাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি। পরে সে দেশে বিয়ে করে স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ছুঁটিতে আসার পর গত আগস্টে বাড়ি থেকে পুনঃরায় আফ্রিকায় ফিরে যান রহিম। শনিবার রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন তিনি। এসময় দোকানের ওপরের টিন কেটে কয়েকজন সেদেশী সন্ত্রাসী তার দোকানে প্রবেশ করে। দোকানে প্রবেশের পর সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে দোকানের ভিতরে মারা যায় সে। রহিমকে হত্যার দোকান থেকে সন্ত্রাসীরা নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এদিকে রোববার সকালে নিহতের গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জে তার মৃত্যুর খবর পৌঁছলে এক হৃদয়বিধারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা। রহিমের মৃতদেহ দেশে আনার বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবদুর রহিমের আরো এক ভাই প্রাণ হারিয়েছিলেন।