উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশন।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুনরায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন চেয়ে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, আমরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে গত ৯ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের কিছু শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যমূলক ফলাফল বিপর্যয়ের কথা। যেখানে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্তরপত্র মূল্যায়নে পক্ষপাতিতা ও অনিয়ম করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফলাফল বিপর্যয় ঘটানোর অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তদন্তপূর্বক উত্তরপত্র পূনর্মূল্যায়ন ও বিভাগের সভাপতির শাস্তি দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া গত ২২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা, ৮ টি কোর্সের মধ্যে সভাপতির একাই ৫ টি কোর্সের উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ৪ টি কোর্সের ইনকোর্স পরীক্ষা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে না নিয়েই মনগড়া কম নম্বর প্রদান ও পছন্দের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নম্বর প্রদান, পরীক্ষা কমিটিতে অবৈধভাবে ২ জন বহিঃস্থ শিক্ষক রাখা, পরীক্ষক প্যানেল বহির্ভূত ও কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন শিক্ষকদের দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ঘনিষ্ট শিক্ষার্থীকে বেশি নম্বর প্রদানসহ প্রভৃতি বিষয়ে অভিযোগ তোলে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন এখন পর্যন্ত চলমান এবং প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে ঘুরেও তারা কোনো সমাধান পাচ্ছেনা।
বিজ্ঞাপ্তিতে আরো উল্লেখ করেন, আমরা মনে করি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আজ এক ভয়াবহ দূর্নীতির বেড়াজালে আক্রান্ত, যা ইউজিসি ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশাসনের উদাসীনতা শিক্ষার্থীদের কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ঘটনা তারই একটা উদাহরণ মাত্র। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এমন উদাসিনতা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। সুতরাং আমরা শিক্ষার্থীদের যে কোনো ন্যায্য দাবির পক্ষে থাকার প্রত্যয়ে রাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাই এবং বিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
এর আগে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ফল প্রকাশের পরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ এনে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিভাগের ১০ জন শিক্ষার্থী।