বাংলাদেশের সিনেমা হলসহ সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। যার শুনানি নিয়ে গতকাল রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন।

হলি আর্টিসানের ঘটনায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ রিট করেন। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত ভারতীয় সিনেমা ‘ফারাজ’ বাংলাদেশে মুক্তির প্রশ্নে রিট আবেদনে রুল জারিরও আরজি জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাদপুরে অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবি জানিয়েছিলেন রুবা আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘ফারাজ সিনেমাটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে। সিনেমাটির নির্মাতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এ ঘটনায় তাঁরা সহমর্মিতাও প্রকাশ করেননি। আইনি নোটিশ পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘ফারাজ সিনেমা বাংলাদেশের কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ কোথাও যেন প্রদর্শন করা না হয় সে জন্য রিট করা হয়েছে। এই সিনেমায় যে চিত্রায়ণ করা হয়েছে, সেখানে দেখানো হয়েছে দুই জঙ্গি কথা বলছে, তার মধ্যে একজনের সঙ্গে অবিন্তার সম্পর্ক ছিল বা আছে। পাশাপাশি তার পোশাক-পরিচ্ছদ এমনভাবে দেখানো হয়েছে, যা আমাদের সভ্য সমাজে শিক্ষিত পরিবার কখনও পরিধান করে না।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এ সিনেমায় মেয়েটিকে চারিত্রিকভাবে হেয় করা হয়েছে। এমনকি পুলিশকে ব্যর্থ দেখানো হয়েছে; যা একটি সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। এসব কারণে সিনেমাটি বাংলাদেশের কোনো প্ল্যাটফর্মে আসা উচিত নয়। তাই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনসহ কোনো ওটিটিতে যেন সিনেমাটি মুক্তি না দেওয়া হয়, সে জন্য বিটিআরসির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ফারাজ আইয়াজ হোসেন, অবিন্তা কবিরসহ ২০ জন। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির [আত্মঘাতী] সদস্যদের ওই হামলায় গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়। এই জঙ্গি হামলা নিয়ে বানানো হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘ফারাজ’। হানসাল মেহতা পরিচালিত টি-সিরিজের সিনেমাটি গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতে মুক্তি পেয়েছে।