সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে খিদ্রচাপরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত রোববার বিকেলে ৮৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির দুটি কক্ষ চোখের পলকে যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেই সাথে খিদ্রচাপরীসহ আশেপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক ঘরবাড়িও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেলকুচি উপজেলার মেহেরনগর থেকে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর স্পার বাঁধ পর্যন্ত যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ গত ১৩ মে উদ্বোধন করা হয়। এ উদ্বোধনের পর থেকেই প্রকল্পের কাজে গাফিলতি ও প্রকল্প এলাকার কাছাকাছি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করায় জিও ব্যাগ নিক্ষেপ বন্ধ থাকায় দুদিন ধরে ভাঙ্গনের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহম্মেদ নয়ন সাংবাদিকদের জানান, ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৮ সালে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ায় ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার মতো আর কোন জায়গা রইলো না। আগামী ৯ জুলাইয়ের পর বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীর কোথায় পাঠদান করাতে হবে সেটাই ভাবছি এখন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এদিকে বড়ধুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সুজন সরকার বলছেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারাচ্ছে। খিদ্রচাপড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা চলছে বলে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া জানিয়েছেন।