গাজীপুরের শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে কলেজ ছাত্র ফরিদ আহম্মেদ (১৯) নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। সে শ্রীপুর পৌরসভার উজিলাব গ্রামের মোস্তফার ছেলে।

বুধবার (২১ মে) রাত ৮ টায় শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা (মাটির মসজিদ) এ এস আর কারখানার সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ১০ টায় তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহত ফরিদের চাচা জলিল মাস্টার বলেন, ঝুট ব্যবসা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে তার কয়েকজন বন্ধু ফরিদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সন্ধ্যার পর তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই এলাকার মামুন ফকিরসহ স্থানীয় কয়েকজন তাকে ধাওয়া করলে দৌড় দিতে গিয়ে পড়ে যায় ফরিদ। এসময় মামুন ফকির তার সাথে থাকা শাকিব, মারুফ, মাহফুজ, তার বাবা আতাউল্লাহ, শামীম, আকাশসহ ২০/৩০ জনকে নির্দেশ দেয় তাকে মেরে ফেলো।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এ সময় তারা ফরিদকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। পরে আতাউর রহমানের ছেলে শাকিব ফরিদকে গুলি করে। শাকিব গত দুই দিন আগে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসে। সে মামুন ফকিরের লোক।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি পূর্ব বিরোধের হলেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে নির্বাচনী ইস্যু সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হুদা জানান, নিহত ফরিদ আহম্মেদের বাম চোখের বাম কর্নারে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন এবং বাম কাঁধে গুলির মতো ছিদ্র রয়েছে। তবে এটিগুলির ছিদ্র কিনা তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেন নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, খবর পেয়ে আমিসহ কালিয়াকৈর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করি। বাম কাঁধে গুলির মতো দেখা গেলেও এটি গুলির ছিমটম কিনা তা তিনি বলতে পারেননি। তবে ময়না তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এসকে