সোমবার থেকে ফের লকডাউনে যাচ্ছে দেশ, এমন ঘোষণা গতকাল এসেছিল। এমন ঘোষণার পর রাজধানী ছাড়তে রীতিমতো প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেছে। বিমানবন্দর রেল স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লেগেছে। লোকাল ট্রেনগুলোতে শোভন চেয়ারে এক সিটে একজন করে বসার কথা থাকলেও তিন চারজন করে বসছেন। তাদের কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।

রোববার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জগামী লোকাল ট্রেনে পরিবার নিয়ে ওঠেন আরমান হোসেন। আসন না পেয়ে পরিবারের ৪ সদস্যকে নিয়ে দাঁড়িয়েই রওনা দিয়েছেন তিনি।

হোসনে আরার মতো এমন আরও অনেককেই একটি বগিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ওই বগিতে তখন প্রতিটি আসনে বসে ছিলেন চার থেকে পাঁচজন করে যাত্রী।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অন্য এক যাত্রী বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তাই নির্ধারিত সময়ের আগে বাড়ি রওনা দিয়েছি। আজ যেতে না পারলে এক সপ্তাহের জন্য আটকে যেতে হবে।’

আরেকটি বগিতে চার ফুটের একটি আসনে গাদাগাদি করে বসেছেন টাঙ্গাইলের চারজন যাত্রী। তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর নামের একজন বলেন, ‘লোকাল ট্রেনে আমরা সবসময় এভাবে গাদাগাদি করে যাতায়াত করি। কিন্তু লকডাউনের ঘোষণায় ট্রেনে যাত্রী অনেক বেশি। চাইলেও এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করা সম্ভব নয়।’

বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রী অনেক বেশি। ধারণা করা হচ্ছে- লকডাউনের ঘোষণায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।’

তবে তিনি দাবি করেন, স্টেশনে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ট্রেনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতেও দেয়া হচ্ছে না।