যৌথ পরিবারের আদর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে বচ্চন পরিবার। বিয়ের পর প্রায় ১৪ বছর কেটে গেছে, আজও বাবা-মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন ঐশ্বর্য-অভিষেক। এ জন্য পশ্চিমা দুনিয়ায় কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন তারকা দম্পতি। কিন্তু সব সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন দুজনেই।
বিয়ের আগে অনেক নিন্দুকই বলেছিলেন বিশ্ব সুন্দরী নাকি আদর্শ বউমা হবেন না। কিন্তু সেই সমালোচনা এক্কেবারে অর্থহীন তা বহুবার প্রমাণ করেন ঐশ্বর্য। শ্বশুর-শাশুড়ির নয়নের মণি তিনি।
নিজেদের ফ্যামিলি বন্ডিংয়ের কথা প্রায়ই নানা সাক্ষাৎকারে বলেন অভিষেক বচ্চন। তবে আজ থেকে বছর ছয় আগের এক ইন্টারভিউয়ে স্ত্রী ও মায়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন অভিষেক। বলেছিলেন পরিবারের প্রমিলা ব্রিগেড মাঝেমধ্যেই চক্রান্ত করে তার বিরুদ্ধে, এবং সেই চক্রান্তে তাদের হাতিয়ার বাংলা ভাষা।
‘মা আর অ্যাশ আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এবং দুজনে অনর্গল বাংলায় কথা বলতে থাকে। মা তো নিজেই বাঙালি তাই সেই ভাষা ওনার জানা। আর ঐশ্বর্য ঋতুদার (ঋতুপর্ণ ঘোষ) সঙ্গে চোখের বালিতে কাজের সুবাদে বাংলা শিখেছে, ও খুব ভালো বাংলা বলতে পারে। তাই যখন আমার বিরুদ্ধে কোনো চক্রান্ত হয় বাড়িতে ওরা বাংলায় কথা বলা শুরু করে দেয়। ২০১৫ সালে ডিএনএকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এসব কথা বলেছিলেন অভিষেক।
অভিষেক অল্প-বিস্তর বাংলা বোঝেন ঠিকই, তবে বলতে পারেন না। অভিষেকই পরিবারের একমাত্র সদস্য যে বাংলা বলতে পারে না। এই নিয়ে তার দিদিমা বহুবার অভিযোগও করেছে। জয়া-ঐশ্বর্যের পাশাপাশি গড়গড়িয়ে বাংলা বলেন অমিতাভ বচ্চনও। সে কথা অজানা নয়, বাঙালিদের। অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখর আগে দীর্ঘদিন কলকাতায় কাটিয়েছেন তিনি। তাই বাংলা ভাষাটা ভালোই রপ্ত তার। বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও বাংলা ছবিতে কিন্তু কাজ করেছেন অভিষেক। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘অন্তরমহল’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ পুত্র।