কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে আরও পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৩টায় তাদের কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত পাঁচদিনের মঞ্জুর করেন। এর আগে তাকে সাত দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছিল।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন, ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এর আগে, গত ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই রাতেই কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কক্সবাজার থেকে ২২ অক্টোবর দুপুরে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পরে ২৩ অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে, পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ অক্টোবর মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও কোরআন অবমাননার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

অন্যদিকে, পূজামণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় শুক্রবার (২৯ অক্টোবার) পর্যন্ত মোট ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।