ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আগামী নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। সেই ষগযন্ত্র মোকাবেল করতে হবে ছাত্রলীগকে। নির্বাচনের আর মাত্র পৌনে ২ বছর বাকী আছে। সময়ের প্রয়োজনে ছাত্রলীগ সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ছাত্রলীগ হলো একটি এলিট ফোর্স। আগামী নির্বাচনেও ছাত্রলীগ সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে।

শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকীতে সপ্তাহব্যাপী চলা কর্মসূচির তৃতীয় দিনে  গোপলগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর   সমাধি সৌধের ১ নং গেটে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত হওয়ার আহবান জানিয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ছাত্রলীগকে হতে হবে শেখ হাসিনার নির্ভরতার ক্যান্টমেন্ট। তাই ছাত্রলীগকে সুশৃংখল ও সুসংগঠিত হতে হবে। তবেই শেখ হাসিনার হাত আরো শক্তিশালী হবে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মিদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরো শিখতে, জানতে ও বুঝতে হবে। নিজেদের জীবনে বঙ্গবন্ধুর জীবনকে অনুসরণ করতে হবে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত গুরু দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। সেই গুরু দায়িত্বগ্রহন করতে গিয়ে ষঢ়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাকে ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

তিনি আরো বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা চ্যুত করার ষঢ়যন্ত্র হয়েছে। শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বের কারণে তা ব্যর্থ হয়েছে। হেফাজতের শাপলা চত্বরের আন্দোলনও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে আমরা মোকাবেলা করেছিলাম।

সমাবেশে দলের অপর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আফম বহাউদ্দিন নাসিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার আদের্শর সোনার বাংলালাদেশ আমরা পরিনত করবই। জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার সন্তানদের দরকার। ছাত্রলীগ কর্মীদের সেই সোনার সন্তান হতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের আদর্শের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছেন, যে উদ্দেশ্যে সারা জীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন, সারা জীবন বাঙ্গলীর মুক্তির জন্য চিন্তা করেছেন।

সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেন, কিভাবে দেশকে ভালবাসতে হয় তা জানতে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী এবং শেখ হাসিনার লেখাগুলোর ছাত্রলীগ কর্মীদের পড়তে হবে। সবসময়ের সঙ্গী হওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার জীবনে যে ত্যাগ, লড়াই সংগ্রাম তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কিভাবে দেশকে ভালবাসতে হবে, কিভাবে দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে, ত্যাগ করতে শিখতে হবে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, আবু সাইদ আল মাহমুদ এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: নিউটন মোল্লা, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়াল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: রেজাউল বিশ্বাস ও সাধারন সম্পাদক মো: বাবুল হোসেন খোকন বক্তব্য রাখেন।

এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা সমাবেশে যোগ দেন। হাজার হাজার নেতাকর্মি ফেস্টুন, পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশ শুরুর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশ স্থল।