দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রথম ‘চাইনিজ কর্ণার’–এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সকালে কালচার এন্ড এডুকেশন এ্যাফেয়ার্স- এ্যাম্বাসি অব চায়না, বাংলাদেশের কাউন্সিলর মি. লিউয়েন ইউ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই চাইনিজ কর্ণার উদ্বোধন করেন।

বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিনেরর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ারুল ইসলাম ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রাহমান, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সাহাবুল হক প্রমুখ।

শাবিপ্রবির পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই চাইনিজ কর্ণারটি পরিচালিত হবে। এতে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাবুল হক। এছাড়াও সহকারী সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফাখরুছ ছালাম, সহকারী অধ্যাপক জনাব মোহাম্মদ শাকিল ভূঁইয়া, সহকারী অধ্যাপক জনাব মোছা: তাহমিনা আক্তার।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় সভায় একাডেমিক ভবন-“এ”- এর ৪০৮ নম্বর রুমে চাইনিজ কর্ণার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতোমধ্যে চিন দূতাবাস চাইনিজ কর্ণার প্রতিষ্ঠার জন্য ২৭৩ টি ইংরেজী বই, ২ টি বুকসেলফ, ১ টি টেলিভিশন, ১টি এয়ার কন্ডিশনার, ১টি ডেক্সটব কম্পিউটার, ১ টি সোফাসেট প্রদান করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটিই প্রথম চাইনিজ কর্ণার। এই চাইনিজ কর্নারের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী যেমন উপকৃত হবে তেমনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। এছাড়া প্রতি বছর চিন সরকার কর্তৃক উক্ত চাইনিজ কর্ণারের মাধ্যমে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপও প্রদান করা হবে।