ময়মনসিংহে গৌরীপুরে দুর্গম চরাঞ্চলে আসামী ধরতে গিয়ে থানার এস আইসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তা এলাকাবাসী হাতে বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) মধ্যরাতে। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৫জনকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক টিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আর এএসআই মোস্তাককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, এস.আই শফিক আহমেদ, এমদাদ, আওলাদ হোসেন, এ.এস.আই কামরুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ ও মিজানুর রহমান। আজ বিকেলে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ওসি আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের চর ভাবখালি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওয়ারেন্টভ’ক্ত আসামী ধরতে যায় থানা সিভিল পোষাকে ৬ পুলিশ সদস্য। এসময় গ্রামের একটি ঘরে হানা দিলে জুয়া খেলা অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ। তখন ছয়-সাতজন জুয়ারিকে আটক করে নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্ঠা করছিল। এসময়র জুয়ারীরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার
শুরু করে। এক পর্যায়ে মাইক দিয়ে বিভ্রান্তিমুলক কথা বার্তা প্রচার করে লোকজন জড়ো করে। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তাদের মিথ্যা বিভ্রান্তিমুলক কথা বলে বুঝানো হয়। এলাকার লোকজন সত্যমিথ্যা যাচাই না করেই লাঠিসোঠা নিয়ে ঐ পুলিশ সদস্যেদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় ঐ ছয় পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় ওসি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইজ্জত আলী জানান, গত ৩০ মার্চ ব্রহ্মপুত্র নদে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে চর ভাবখালীর শ্রমিকদের সাথে উজান কাশিয়ারচর এলাকার শ্রমিকদের মারামারির জের ধরে দ›দ্ব চলছিল। এনিয়ে দ্#ু৩৯;পক্ষের মাঝে প্রতিদিনই উত্তেজনা চলছিল। ঘটনার দিন রাতে চর ভাবখালীর নদ ঘাটের তীর একটি দোকানে বসে তাস দিয়ে জুয়া খেলছিল কয়েকজন জুয়াড়ী। এ সময় হঠাৎ
সিভিল পোষাকে পুলিশ অভিযান চালালে গ্রামের লোকজন চিৎকার করে হট্টগোল শুরু করে। এতে স্থানীয় বালু শ্রমিকরা মনে করে যে পূর্বের মারামারির জের ধরে প্রতিপক্ষ উজান কাশিয়ার চরের লোকজন তাদের উপর হামলা করতে এসেছে। এ সময় এলাকাবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার লোকজন একত্রিত করে প্রতিপক্ষ ভেবে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে এলোপাথাড়ি মারপিটে ওই পুলিশ সদস‍্যরা আহত
হয় বলে জানান ওই ইউপি সদস‍্য।

এব্যাপরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমারউজ্জামান জানান, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সাথে দেখছে। পুলিশ এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।