পবিত্র মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরা শহরের সড়কগুলোতে যানজট মুক্ত রাখতে ও জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে তৎপর জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইউনিট।

চৈত্রের তাপদাহে জনসাধারণকে চলাচলে স্বস্তি দিতে বিভিন্ন কৌশলে শহর কেন্দ্রিক সড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পালাক্রমে দ্বায়িত্ব পালন করছে ট্রাফিক পুলিশের একাধিক ইউনিট।

যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে শহরের সড়কের গরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শহরের সড়কে প্রবেশ নিষিদ্ধ যানবাহনগুলোকে বাইপাস ও আসপাশের সড়কে চলাচল করার নির্দেশনা প্রদান করেছে জেলা ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া সড়কে আইন না মানলে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এদিকে, আটক করা হচ্ছে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস বিহীন যানবাহন। আটক করা হচ্ছে শহরের সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টিকারী পৌরসভার অনুমোদনহীন ইজিবাইক, অবৈধ নছিমন, করিমন, ইঞ্জিন ভ্যান।

সাতক্ষীরা শহরে নিয়মিত যাতায়াতকারী অনেকেই জানান, হঠাৎ কয়েকদিন সড়কে যানজট কমেছে অনেকখানি। জনসাধারণের মাঝে ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রবণতাও কিছুটা বেড়েছে। কমেছে ছোটখাটো সড়ক দুর্ঘটনা। তবে, সন্ধ্যার পর রাত নয়টা পর্যন্ত শহরের সঙ্গীতা মোড়ে ঢাকাগামী পরিবহনের চাপে সৃষ্ট যানজট এখনো বিদ্যমান।

এব্যাপারে সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) শ্যামল কুমার চৌধুরী জানান, পবিত্র মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরা শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে ও জনসাধারণের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। জনবল কম থাকার পরও গত কয়েকদিন ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। ব্যস্ততম সড়কে ও শপিংমল মার্কেট এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার আহবান জানান।