সকালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সিঁড়িতে অনশন শুরু করেন এক নারী। সারাদিন সিঁড়িতে বসে থাকার রাতে তার মাথায় সিঁধুর দিয়ে বিয়ের মাধ্যমের ঘরে তুলে নিলে অনশনের সমাপ্তি হয়।

শুক্রবার(১৭ জুন) ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগন্নাথদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

যদিও স্থানীয়দের চাপে অনশনরত নারীকে মেনে নিতে বাধ্য হন প্রেমিক যুবক ও তার পরিবার। তাই চাপের বিয়ের এ সংসার তাদের কতদিন টিকবে তা নিয়ে চলছে নানা কথা।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

স্থানীয়রা জানান, যদুনন্দী ইউনিয়নের জগন্নাথদি গ্রামের শুনীল মিত্রের ২৮ বছর বয়সী অবিবাহিত ছেলে সুমন মিত্রের সঙ্গে পাশ্ববর্তী গোপিনাথপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ সুমন বিশ্বাসের ২০ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়ে চৈতী বিশ্বাসের প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের সম্পর্কের বয়স এক বছর। বিষয়টি জানাজানি হবার পর সুমনের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে শুরু করে তার পরিবার। মেয়ে দেখার খবরটি পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে প্রেমিক সুমনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন চৈতী।

অনশনরত ওই নারী বলেন, গত এক বছর ধরে সুমনের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এরমধ্যে বিয়ের আশ্বাসে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। সুমনের পরিবার তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানতেন।

তিনি আরও বলেন, আগে অন্য এক ছেলের সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল। এরপর থেকে সুমন আমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায় সুমনের চাপে যেখান থেকে বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে আসি। কিন্ত পরে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। শুক্রবার সকালে অনশন শুরু করার পর রাত ১১ টার দিকে স্থানীয় মাতব্বররা বিয়ের আয়োজন করেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. কাইয়ূম মোল্যা বলেন, মেয়েটি সকাল থেকে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে জানতে পারি। পরে মেয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি তার সাথে ছেলেটার শারিরীক সম্পর্ক হয়েছে। এ ছাড়া এ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র আমাদের দিয়েছেন মেয়েটি। পরে স্থানীয় মাতুব্বররা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাতেই মেয়ের বাড়িতে আয়োজন করে সনাতন ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, এ খবর এখনও জানতে পারেননি তিনি। তবে, এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।