পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মানুষ চলাচলের গ্রামীণ সড়ক কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে ছোটবড় যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় ৫ সহস্রাধিক মানুষসহ স্কুলগামী ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মোস্তফাপুর গ্রামের উপশীতলা খালের পাশের রাস্তায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই মাটির সড়ক লাগোয়া কৃষি জমির মালিক নুরুন্নবী তার লোকজন দিয়ে প্রায় ৮ ফুট প্রস্থের সড়কটি সিংহভাগ কেটে নিয়ে সড়ল জমিতে পরিনত করে গাছ রোপণ করছেন। এতে সড়কের প্রস্থ কমে যাওয়ায় মানুষ চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে দুই গ্রামের মানুষের চলাচলে বিকল্প পথ না থাকায় গ্রামীণ এ সড়ক নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ৩০ বছর আগে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু রাস্তার মাটি কাটার ফলে তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া অটোরিকশা ও হোন্ডাযোগে বাজারে যাওয়া যায়না। এমনকি অসুস্থ রোগী নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া যাচ্ছে না। এছাড়া ওই রাস্তা ব্যতিত উপশীতলা গ্রামে যেতে বিকল্প কোন রাস্তাও নেই। তাই রাস্তাটি জরুরি দখল মুক্ত করার দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

স্থানীয় হোন্ডা চালক সাইদুল ইসলাম নয়ন ও মহিম ফরাজি জানান, ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় যাত্রি নিয়ে যাতায়াত করি। রাস্তাটি কাটার ফলে এখন আর চলাচল করতে পারছিনা। আমাদের আয় রোজগার কমে গেছে। উমেদপুর ইসলামীপুর দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওমর ফারুক জানায়, বাড়ি থেকে এই রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এবিষয়ে নুরুন্নবী হাওলাদার জানান, রাস্তাটি আমার রেকর্ডীও জমির উপর দিয়ে গেছে। রাস্তাটি মাঝখান দিয়ে এক পাশ কাটছি, অন্যপাশ কেটে সমান করা হইবে। কিন্তু এলাকার মানুষজন আমারে না কইয়া সাংবাদিক কইছে। এদিকে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, এবিষয়ে আমাকে কেউ জানানয়নি। আমি বিষয়টি দেখছি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, জনচলাচলের রাস্তা কোন ভাবেই কাটতে পারেনা। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।