খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের উস্কে দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখলাম ন্যায্য দাবির পক্ষে দাঁড়ানোর ফলে তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটা মুক্ত এলাকা। সমাজকে অগ্রসর হওয়ার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, রাজনৈতিক চিন্তা, বিতর্ক, মত প্রকাশের ক্ষেত্র তৈরি করে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ একটা দিশা পায়। সে দিশাটা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তারা কখনও অন্যায়ের তল্পিবাহক হতে পারে না।’

অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ, আমলা, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার এই ধরনের লোকদেরকে প্রশাসনে বসিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি রোবটে পরিণত করতে চায়। তারা চায় না কেউ মুক্ত চিন্তা করুক, সৃজনশীল চিন্তা করুক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো মেরুদ- থাকুক। তারা চায় এমন শিক্ষক যারা শিক্ষাচর্চার সাথে থাকবে না বরং তাদের অনুগত হবে।’

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হক রনি বলেন, ‘একজন উপাচার্যের কাজ হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণার দিকে নিয়ে যাওয়া। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও দূর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিচার হয়নি। যার ফলে উপাচার্য আজকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকেও বহিষ্কার করার সাহস পেয়েছে।’

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান সুমন, অধ্যাপক মোহাম্মদ এমদাদুল হুদা, অধ্যাপক আবদুল জব্বার হাওলাদার, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মীরা।