অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, খাতা কলমে ১শত ৭০ জনশিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে ১ম ও ২য় শ্রেণিতে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং ৩য়-৫ম শ্রেণিতে ৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা হদিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৩জন থাকলেও শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে স্থানীয়রা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন । ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা হয়। তখন থেকেই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইয়াসিন আলী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম থেকেই এই বিদ্যালয়ে তেমন কোন শিক্ষার্থীর অবস্থান দেখা যায়নি।

শিক্ষকরা বলতে গেলে বসে বসেই মাস শেষে বেতনভাতা উত্তোলন করে আসছেন। এসব অভিযোগ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। সোমবার (২১ নভেম্বর) বিদ্যালয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষার্থী।এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে শিক্ষকরা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এসময় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বলেন, আজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছু কম হয়েছে।
উপস্থিত চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মিম জানায়, নিয়মিত বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ঘটে। প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকায় আমি নিজে বদলীর আবেদন করেছি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ শিক্ষক ইয়াসিন আলী বদলি হয়ে তার দীর্ঘদিনের দোষ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের ওই অবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরুন নবী জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই নাজুক। এই কারণে প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বদলির আবেদন করেছেন।

এলাকাবাসী বিদ্যালয়টির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।