দেশের তৈরি পোশাক খাতের বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। একই খাতে ইইউ-তে রাজত্ব করছে বিশ্বের জনবহুল দেশ চীন। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে চীন ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ রপ্তানি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বছরওয়ারি ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৪০ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ।

একই সময়ে, তুরস্ক থেকে আমদানিও বছরওয়ারি ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানিও ১০ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকে আমদানি ৪ দশমকি ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আর বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া থেকে ৩৯ দশমিক ৬৯, ভিয়েতনাম থেকে ৩৩ দশমিক ০৫, পাকিস্তান থেকে ২৮ দশমিক ৫৫, মরক্কো থেকে ৯ দশমিক ৫৯, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৮ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ আমদানি বেড়েছে।

তবে পণ্য সরবরাহের তালিকায় চীনের পরে থাকলেও ইউরোপের বাজারে গত বছরের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (৯ মাসে) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সারাবিশ্ব থেকে ৮৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালের ওই সময়ের তুলনায় যা ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

পরিসংখ্যান মতে, গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৪০ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৩৬৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। ফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এ ডাটা গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। সেই হিসেবে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ ভালো করছে। তবে, এই সময়ের পর ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ ও অনান্য দেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পোশাক রপ্তানি কমছে। তবে অনান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো করছে। তাছাড়া অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।