রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোসাইগোবিন্দপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষকেরা এই মৌসুমে ৯ থেকে ১০ ফুট লম্বা রকেট জাতের উন্নয়তমানের নতুন সরিষার চাষ শুরু করেছেন। এই জাতের সরিষা চাষে ভালো ফলনের আশা করছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

এই জাতের সরিষা চাষের ব্যাপারে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোসাইগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আবু তালেব জানান, এই মৌসুমে তিনি তার মাঠের জমির দোঁয়াশ মাটিতে ৩মাস পূর্বে চাষের মাটি প্রস্তুত শেষে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আকরাম হোসেনের মাধ্যমে বগুড়া জেলা থেকে নতুন রকেট জাতের সরিষার বীজ সংগ্রহ করে তার জমিতে চাষ করেন।

বীজ থেকে সরিষার গাছগুলো ধীরে ধীরে বড় হয়ে ফুল ধরতে শুরু করে এবং ফুল থেকে ফল ধরতে থাকে। বর্তমানে সরিষার গাছগুলো ৯ থেকে ১০ ফুট লম্বা হয়ে উঠেছে। তিনি ধারণা করেন, ৪৪ শতক জমিতে প্রায় ২০মণ সরিষা তার ঘরে তুলতে পারবেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

একই গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, তার গোবিন্দপুরের আবাদি জমির এঁটেল মাটিতে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আকরাম হোসেন এর চেষ্টায় বগুড়া জেলা থেকে নতুন রকেট জাতের সরিষার বীজ সংগ্রহ শেষে ৬৮ শতক জমিতে চাষের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই রকেট জাতের সরিষায় ভাল ফলন পাবেন বলে তিনি আশাবাদি।

তিনি আরো জানান, ৬৮ শতক জমিতে প্রায় ৩০ মণ সরিষার ফলন হবে এবং তিনি লাভবান হবেন। এই সরিষার বীজের জন্য প্রতিনিয়ত আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তার বাড়ীতে কৃষকেরা ভীড় জমাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দির উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আকরাম হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখায়াত হোসেনের পরামর্শ ক্রমে এই মৌসুমে তিনি বগুড়া জেলা থেকে রকেট জাতের নতুন সরিষার বীজ সংগ্রহ করেন এবং কৃষকদের মাঝে তা সরবরাহ করেন। সেই বীজ কৃষকেরা তাদের জমিতে চাষ করেন। বর্তমানে তা প্রায় ৯ থেকে ১০ ফুট লম্বা হয়ে ব্যাপক ফল ধরতে শুরু করেছে। এতে এলাকার কৃষকেরা ভাল ফলনসহ লাভবান হবেন বলে আশা করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখায়াত হোসেন জানান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আকরাম হোসেনের মাধ্যেমে বগুড়া জেলা থেকে তিনি নতুন রকেট জাতের সরিষার বীজ সংগ্রহ করেন। এই বীজ কৃষকেরা তাদের জমিতে চাষ করেন। এই বছরে কিছু কৃষকের এই জাতের সরিষার চাষে যেমন ফলন পাবে তেমন কৃষকেরা লাভবান হবেন। এতে করে আগামী বছরে এই রকেট জাতের সরিষার চাষে কৃষকের আগ্রহ ও সংখ্যা বাড়বে।

তিনি আরো জানান, এই সরিষা আবাদের জমিগুলো তিনি বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করাসহ এব্যাপারে কৃষকদেরকে পরামর্শ প্রদান করে আসছেন।