পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলিতে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে আহত সেই অজ্ঞাত শিশুটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আইসিইউ ইউনিটে বুধবার ১০ মে রাত ১.৩০ মিনিটে মৃত্যু বরণ করেছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান ডা: আবু হেনা মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ৪ মে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার হাজীপুর গ্রামের নাজমুল হক নামের এক ব্যক্তি আহত ছেলেটিকে নিজের বলে দাবী করেছিল কিন্তু মঙ্গলবার রাত ১২ টার সময় নাজমুল হক তাদের সন্তান ফিরে এসেছে জানিয়ে পুনরায় ছেলেটিকে অজ্ঞাত পরিচয়হীন বলে রামেকে রেখে যান। পরে রাত ১ঃ৩০ মিনিটে ছেলেটি মৃত্যু বরণ করে। প্রতিবেদক নাজমুল হককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে জানান, আমরা গত ৪ মে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে ছেলেটিকে আমাদের মনে করেছিলাম সে আসলে আমাদের ছেলে নয়। আমাদের ছেলেকে খুঁজে পেয়েছি।

৪/৫ দিন ছেলেটির সাথে থেকেও চিনতে পারেন নাই সে আপনাদের সন্তান নয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আহত ছেলেটির চেহারা অবিকল আমাদের ছেলের মত। আহত ছেলেটিকে যখন সিটি স্ক্যান করার জন্য আইসিইউ থেকে বাহিরে আনা হয় পরিবারের অন্যান্যরাও চিনতে পারেনি যে এটা আমাদের ছেলে ইয়ামিন না।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অনেকেই জানাই আমার ছেলেকে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে দেখেছে। সে সকল তথ্যানুযায়ী খোঁজ করলে আমার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যায়। এর আগে নাজমুল হক গোদাগাড়ী থানায় ছেলে হারিয়ে গেছে জানিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম হারানো ছেলেটিকে ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, হারানো ছেলেটিকে যে পরিবার ফিরে পেয়েছে এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়নি। গোদাগাড়ী প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক বিনয় কুমার জানান, ছেলেটিকে ফিরে পেয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের চাপে ওসি স্যারকে বিষয়টি অবগত করা হয়নি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানাই, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু আইসিইউ তে মৃত্যুবরণ করা বাচ্চাটির এখন পর্যন্ত কোন অভিভাবক পাওয়া যায়নি। সে কারনে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।