চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার তিনটি উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে এবং অন্যটি মঘাদিয়াতে। সর্বশেষ শিকার মিঠানালা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মলিয়াইশ গ্রামের কাজিম উদ্দিন হাজি বাড়ি প্রকাশ সাধুর বাজারের মাইজ্জা সওদাগরের বাড়ি। গত রবিবার রাত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওই বাড়ির ১৭টি বসতঘর।

খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট ও স্থানীয়রা এসে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, মো. সবুজ, মো. হারুন, মো. সাইফ উদ্দিন, জামসেদ আলম মোবারক, মো. সেলিম, মো. নজরুল, মো. ফখরুল, মো. মামুন, মো. রনি, রিফাত হোসেন, মো. নাছির, মো. আলাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, নুরের সাফা, নুর ইসলাম, অলি আহমেদ ও আব্দুল খালেক।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

জানা গেছে, গত রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মো. মামুনের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এবং তা মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই বাড়ির ১৭ পরিবারের নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এসময় পরণের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারেনি তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. মামুন বলেন, আমার একটি গরুর খামার আছে। গরুর জন্য ঋণ নেওয়া নগদ ৭ লক্ষ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন বুঝতে পারছি না কি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তিনি আরও বলেন, অসচেতনতা এবং তীব্র তাপদাহের কারণে অনেকেই রাতে রান্না করছেন। এতে করে একের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে রবিবার সকালে মিঠানালা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়া উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির মমতাজ বেগমের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট বসতঘরটি গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার আগের দিন গত শনিবার বিকালে মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরহাট এলাকার বাবুল দাসের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৩০ মে আগুনে পুড়ে যায় মিঠানালা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুফিয়া মাদরাসা সংলগ্ন ওবায়দুল হক হাজী বাড়ির জিয়াউর রহমান ও আমির হোসেনের বসতঘর।