দলে যখন যোগ দিয়েছিলেন, অল্পদিনের ব্যবধানে ফিনিশার খেতাব পেয়েছিলেন। তারপর যেন কি হলো, নাসির জড়িয়ে গেলেন নানা বিতর্কে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াননি অনেকদিন হলো, তবে বিতর্ক পিছু ছাড়তে নারাজ এই ক্রিকেটারের। সম্প্রতি বিয়ে করে আবার নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন তিনি।
বিয়ের আমেজ শেষ হবার আগেই ফেসবুকে ভাসছে নাসিরের বউ তামিমার ছবি। তবে সেটা তাদের বিয়ের না,বরং সেটা মহাবিতার্কিক। স্বামী ও সন্তান রেখে নাকি বিয়ের পিড়িতে বসেছেন তামিমা তামি।
২০১১ সালে অভিষেক হয় তার। সবশেষ ২০১৮ সালে খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। মাঠের বাইরে অনেক ইস্যুতে শিরোনাম হয়েছেন নাসির। গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি।
নাসিরের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করেন তামিমা। গেল বছর ইন্সটাগ্রামে তার ছবি পোস্ট করেছিলেন নাসির। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার ছবি মুছেও দেন তিনি। তখনই গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বিয়ে করতে চলেছেন তিনি।
সব ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু শনিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরালের পর সামনে চলে এসেছে নানা প্রশ্ন।
দুপুরে রাইসা ইসলাম বাবুনি নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারী কয়েকটি স্ক্রিন শট ও একটি ভয়েস কলের রেকর্ড পোস্ট করেন। যেখানে নিজেকে তামিমার স্বামী দাবি করছেন রাকিব নামক এক ব্যক্তি। আরও দাবি করা হয় তাদের ঘরে রয়েছে একটি মেয়ে সন্তানও। মুহূর্তের মধ্যে ওই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।
রাকিবের দাবি, ২০১১ সালে রাকিবের সঙ্গে তামিমার বিয়ে হয়। তালাক না দিয়ে নতুন বিয়ে করেছেন তামিমা। এখনও তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই তামিমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন তিনি।
পোস্টে অডিও কলে নাসিরের পরিচয় দিয়ে রাকিবকে ফোন করা হয়। সেখানে জানতে চাওয়া হয় কেনো জিডি করেছেন তিনি। জবাবে রাকিব পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, কেনো বিয়ে করেছেন তিনি। জবাবে বলা হয় স্বামী ও সন্তান থাকার বিষয়টি জেনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে একাধিবার নাসিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হলে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। নাসিরের বড় ভাই নাসিম হোসেন বাণিজ্য প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি নন।
তিনি বলেন, আপাতত কিছু বলতে চাচ্ছি না। ‘অপেক্ষা করুন, নাসির নিজেই সব স্পষ্ট করবেন।’
সেই অডিওকল শুনতে এখানে ক্লিক করুন