বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান।

মাসের পর মাস ঢাকায় থেকে ক্যাম্পাসে না এসে মিথ্যাচার করায় জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যাচার করায় উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে শিক্ষামন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে মশিউর রহমান বলেন, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিতি থেকে রেকর্ড করেছেন। উপাচার্য হিসেবে যোগদান করার পর থেকে আজকেসহ ১৩৫৬ দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্ত উপাচার্য ১১১৯ দিনই ঢাকায় ছিলেন। অথচ উপাচার্য ঢাকায় বসে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০-২২ ঘণ্টা কাজ করেন বলে মিথ্যাচার করেছেন।

সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেয়া, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, নিয়োগ বোর্ডেও সভাপতি হয়েও অনুপস্থিতি থাকা, নিরাপত্তাহীন ক্যাম্পাস, ইচ্ছেমত পদোন্নতি, আইন লঙ্ঘন করে একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদ দখল করা, ক্রয় প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন, অনুমোদিত ও অনিয়মতান্ত্রিক ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং, ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিসে অতিরিক্ত খরচ, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, চরম শিক্ষক সংকটসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতির সাথে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সরাসরি জড়িত।

উপাচার্য সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন। স্পিকারসহ সরকারের দায়িত্বশীল কর্তাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন।এমনকি ইউজিসি বিষয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন। সরকারের উন্নয়নসহ সবকিছু বিষয়েই বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করেছেন। আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। মিথ্যাচারের জন্য তাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তার দাবিগুলো সত্য প্রমাণিত করতে হবে। নইলে ক্যাম্পাসে তাকে ঢুকতে দেয়া হবে না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ সভাপতি এইচ এম তরিকুল ইসলাম,রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফসহ পরিষদের অন্য সদস্যরা।