গাজীপুরের টঙ্গীতে পূর্ব বিরোধের জেরে সেলিম মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সে পেশায় বাবুর্চি। সেলিম নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ভোরে টঙ্গীর কেরানীটেক বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেলিমের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার বলেন, স্থানীয় যুবক রনি ও খালেকের সঙ্গে আমার স্বামী সেলিম মিয়ার বিরোধ ছিল। ভোরে কেরানীটেক বস্তি এলাকায় রনির মায়ের ঘরের সামনে অভিযুক্তরা আমার স্বামীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমি মামলা করব।

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান আহমেদ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিমকে হাসাপাতালে আনা হয়। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এম সাফায়েত ওসমান জানান, যুবক সেলিম মিয়া তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে কেরানীটেক বস্তি এলাকায় বকুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেলিমের স্ত্রী বৃষ্টি গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিমের মৃত্যু হয়। সকাল ১০টায় পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রæতার জেরে হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে কি নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল তার জানা যায়নি। নিহতের স্ত্রী অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।

এম পি