গবেষণার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে এবং তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাধারার বিকাশে সহায়তা করতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (বাকৃবি) রিসার্চ ক্লাব। বৃহস্পতিবার বিশ^বিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে বাকৃবি রিসার্চ ক্লাবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।

শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা, সমস্যা সমাধান করা, বিভিন্ন শাখা মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তুলে সামাজিক প্রভাব বাড়ানো এবং বৈশ্বিক অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করতে গঠিত হয় বাকৃবি রিসার্চ ক্লাব। ক্লাবকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খানকে আহবায়ক এবং সহকারী অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আবদুল্লাহ আল-আমিনকে সদস্য সচিব করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন কর হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান বলেন, রিসার্চ ক্লাবের উদ্দেশ্যে হচ্ছে বাকৃবির স্নাতক পড়ুয়া এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের অত্যাধুনিক গবেষণায় অনুপ্রাণিত করা, গবেষণার ধারণা, বিশ্লেষণ-ধর্মী চিন্তাভাবনা এবং বাস্তবায়নের উপর শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা। এছাড়াও আন্তর্জাতিক গবেষণাদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করা, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রাণিত করতে ক্লাবটি কাজ করবে। ক্লাবটি গবেষণা পদ্ধতি, তথ্য বিশ্লেষণ, উপস্থাপনা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার উপর সেশন পরিচালনা করা, বর্তমান গবেষণা বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ আলোচনা এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করবে।

রিসার্চ ক্লাবের উদ্বোধনকালে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্র এবং গবেষণায় সমৃদ্ধ করার জন্য এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যেন তারা বিশ্বের যেকোনো স্থানে কাজ করতে পারে। একজন অধ্যাপকের কাজের মৌলিক উপাদান হচ্ছে তার শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ছাড়া তারা চলতে পারেন না। গবেষণার আগে উপযুক্ত পরিকল্পনা এবং চিন্তাশক্তি থাকা জরুরি। ছাত্র-শিক্ষকের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে তাদের মধ্যে লুকায়িত উদ্ভাবনী শক্তি জাগ্রত করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন তাদের গবেষণার মাধ্যমে উন্নত বিশ্বকেও ছাড়িয়ে যায়, এই কামনা করি। ভারত, চীনকে পাশ কাটিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিবে এই স্বপ্ন আমি দেখি। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবর্দা পাশে থাকবে।

এনজে