শেরপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জিপি (সরকারী কৌসুলি) ও পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর)সহ ৩১ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

জেলা জজ আদালতে সরকারী কৌসুলি (জিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। এদিকে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট আশরাফুন্নাহার (রুবি)। ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে প্রথম নারী আইনজীবী হিসেবে পুর্ণাঙ্গ পিপি হলেন আশরাফুন্নাহার (রুবি)।

জেলা ম্যাজস্ট্রেট বরাবরে লিখিত সচিবালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের ১৮ নবেম্বর স্বাক্ষরিত এক পত্রাদেশে এ নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই আদেশে পূর্বে নিয়োগকৃত সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদের নিজ নিজ পদের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা সবাই বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য বলে জানা যায়।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিভিন্ন আদালতের আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম। বিকেলে শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতিতে নতুন পিপি-জিপিসহ সরকারী আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে আইনজীবীরা নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান এবং আইনজীবী সমিতির ২নং ভবনে সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে তাদেরকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। পরে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৮ জন শেরপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে তার নিকট যোগদানপত্র জমা দেন।

জিপি-পিপি’র পাশাপাশি একই পত্রাদেশে জেলা জজ আদালতে একজন অতিরিক্ত সরকারী কৌসুলি (অতিরিক্ত জিপি) এবং ৫ জন সহকারি সরকারী কৌসুলি (এজিপি), জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৩ জন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পিপি) এবং ১৮ জন সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একজন সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জেলা জজ আদালতের নিয়োগপ্রাপ্ত ১ জন অতিরিক্ত জিপি হলেন-অ্যাডভোকেট আবুজার গাফ্ফারী। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৩ জন অতিরিক্ত পিপিরা হলেন-অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মো. মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. ছামিউল ইসলাম (আতাহার), অ্যাডভোকেট এম.কে. মুুরাদুজ্জামান। এছাড়া ৫ জন এজিপি হলেন-মো. আফছার উদ্দিন, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. আশরাফুল ইসলাম (সোহেল), শারমীন সুলতানা বিথী ও সিদ্দিকুর রহমান ভুঁইয়া। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. শামছু হক। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ১৮ এপিপি হলেন-মো. আশরাফুল আলম (লিচু), মুন্সী মো. মহসিন, মোছা. রৌশনারা বেগম, মো. গোলাম হক সরকার, মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (বাচ্চু), শাহনুর রহমান রুবেল, মো. আদিলুজ্জামান, মো. আল আমিন, মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান (রাসেল), মোহাম্মদ সুজাউদদৌলা, মোক্তারোজ্জামান (মুক্তার), আলহাজ্ব মো. জমশেদ আলী, মো. মাছউদুর রহমান শামীম, এ.কে.এম. হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আলহাজ্ব সৈয়দ হাবিবুর রহমান (রুনু), মো. সেখ সাহেদ রহমান, মো. মতিউর রহমান (২) এবং মো. বজলুর রহমান।

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব ও পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান, বুধবার (২০ নবেম্বর) থেকে তারা আদালতে আইনগত দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বিচারপ্রার্থীদের সঠিক বিচার নিশ্চিত করাই হবে তাদের মূল লক্ষ্য। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পিপি অ্যাডভোকেট আশরাফুন্নাহার (রুবি) বলেন, আমি নারীর অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আদালতে লড়ে যাবো। আমার দায়িত্ব পালনকালীণ সময়ে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। যেন আমি সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি।

এম জি