ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে আবাসিকতা সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শহীদ জিয়াউর রহমান হলে আবাসিকতা প্রদানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় হল কর্তৃপক্ষ। ২৬ নভেম্বর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এ বি এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি হলের নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়। পরে বিজ্ঞপ্তির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা এটিকে ‘নতুন বৈষম্য’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর এখনো একই ধরনের চর্চা চলতে পারে না। তারা মেধা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে আবাসিকতা প্রদানের দাবি জানান। পরে সমালোচনা মুখে তড়িঘড়ি করে ওই বিজ্ঞপ্তিটিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে অংশটি ‘জোড়াতালি’ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে থাকা ‘বৈষম্যমূলক’ ওই অংশটুকু কেটে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে সিট বরাদ্দ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে হল প্রভোস্ট।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে এমন কিছু উল্লেখ করার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কখনোই এমন কোনো দাবি বা চাওয়া ছিল না, আগামীতেও থাকবে না। আন্দোলন করেছি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে চাই। প্রভোস্ট নিজে থেকেই এমন লিখেছেন।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, পূর্বের বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য উইন্ড্রো করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই সংশোধিত নোটিশের আলোকে কার্যক্রম চলবে।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ড. আবুল কালাম আজাদ, আমাদের এরকম বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নোটিশের বিষয়টা জানার সাথে সাথে প্রভোস্টকে কল দিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন ভুলবশত হয়েছে। পরে তিনি সংশোধন করে দিয়েছেন।

এম জি